ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে,বাড়ি ও ফ্ল্যাটের জন্য।
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিত করতে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে সরকার। আর এজন্য ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) থেকে ৮৬৫ কোটি টাকা ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে সরকার। হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশনের মাধ্যমে স্বল্প সুদে পল্লীমা কিংবা প্রবাসবন্ধুসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয়ে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। তবে স্বল্প আয়ের মানুষকে এই ঋণসুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আইডিবি আমাদের জন্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা লোন মঞ্জুর করেছে। আমরা চাচ্ছি যে, বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলিতে আমরা লোন বাড়িয়ে দেব। যে পরিমাণ আগে টাকা দিতাম তা দিয়ে আসলে দুইতলা, আড়াইতলা, তিনতলা পর্যন্ত বাড়ি করা যেত। সেকারণে আমরা এখানে সিলিং (ঋণসীমা) বাড়িয়ে দিয়ে প্ল্যান অনুযায়ী সে যাতে কাজটা সম্পন্ন করতে পারে সেটার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। এমডি আরো বলেন, ‘মার্কেটে যারা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেখানে তাদের তুলনায় আমাদের ইন্টারেস্ট রেটটা একটু বেশি ছিল। তবে আমাদের ইন্টারেস্ট রেটটা কিন্তু সবসময় সরল সুদ। আমি আশা করছি, আইডিবির টাকাটা যদি আমি বিনিয়োগ করতে পারি, তাহলে আমার ভলিউম বেড়ে যাবে লোনের। সেক্ষেত্রে আমার কস্ট অব ফান্ড কমে যাবে। কস্ট অব ফান্ড কমলে স্বাভাবিকভাবেই আমি ভবিষ্যতে আমার ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে প্রবাসবন্ধু, পল্লীমা, নগরবন্ধু এবং আবাসন উন্নয়ন ও মেরামতে সাড়ে আট শতাংশ থেকে সাড়ে নয় শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে সরকারি এই আবাসন ঋণ মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসতে সুদের হার আরো কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার দায়িত্ব হচ্ছে যারা মিডল ক্লাস এবং লোয়ার মিডল ক্লাস তাদের জন্য যে বাসস্থান সেটার অধিকার পূরণ করতে হবে। তার জন্য কিন্তু যে ইন্টারেস্ট রেট ঠিক করতে হবে সেটা আরো কম হতে হবে। একইসঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যাতে করে রিয়াল ইন্টারেস্ট রেট নেগেটিভ না হয়, মানে আমাদের যে ইনফ্লেশন আছে সেটার কাছাকাছি যাতে রাখা যায়।