পঞ্চগড়ে মেয়েকে নিয়ে স্কুলশিক্ষিকার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ!
পঞ্চগড়ের নয়নীবরুজ রেলস্টেশনসংলগ্ন বকুলতলা এলাকায় রেললাইন থেকে এক মা ও শিশু মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর-পঞ্চগড় রেলপথে তাঁরা আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন শ্যামলী বসাক (২৩) ও তাঁর আড়াই বছর বয়সী মেয়ে পবিত্রা সেন (মনি বসাক)। শ্যামলী পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বারো আউলিয়া গ্রামের অরুণ বসাকের মেয়ে এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘুরণগাছ ( আসানসোল ) এলাকার প্রদীপ কুমার সেনের স্ত্রী। শ্যামলী বসাক দুই বছর ধরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী উত্তরা নামক একটি লোকাল ট্রেনের নিচে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ও মেয়ে ঝাঁপ দেয়। ট্রেনের নিচে পড়ে মা-মেয়ের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া এলাকার প্রদীপ কুমারের সঙ্গে শ্যামলী বসাকের সঙ্গে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের একটি মেয়েসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ঝগড়া-বিবাদ করে শ্যামলী স্বামীর বাড়ি থেকে দুই বছর আগে বাবার বাড়ি চলে আসেন। এ নিয়ে শ্যামলী বসাকরা পঞ্চগড় জজ কোর্টে একটি মামলাও করেন। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ও বাবার সঙ্গে অভিমান করে শ্যামলী বসাক মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে স্থানীয়রা জানান। পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হাসান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, স্বামী বা বাবার ওপর রাগ-অভিমান করে শ্যামলী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।