বেসরকারি ব্যাংকে পারিবারিক প্রভাবের সুযোগ আরো বাড়ল
বেসরকারি ব্যাংকে পারিবারিক প্রভাবের সুযোগ আরো বাড়িয়ে আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সকালে মন্ত্রিসভায় ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাব ওঠানো হলে তার অনুমোদন দেওয়া হয়। বেলা ১১টায় সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়। পরে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় সচিব বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫ ধারার ১০ উপধারার সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা। সংশোধন অনুযায়ী, এখন থেকে একই পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন সদস্য ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে পারবেন। পরিচালকরা তিন বছর করে তিন মেয়াদে টানা নয় বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। মাঝে তিন বছরের বিরতি দিয়ে ফের নয় বছরের জন্য দায়িত্বে ফিরতে পারবেন তাঁরা। ‘আগে এ আইনে একই পরিবারের দুজন সদস্য পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারতেন এবং তাঁরা টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। তিন বছর বিরতি দিয়ে আবার তাঁরা পরিচালনা পর্ষদে ফিরতে পারতেন’, যোগ করেন সচিব। কেন এ ধরনের সংশোধনী আনা হয়েছে—জানতে চাইলে সচিব শফিউল আলম বলেন, বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তাই মন্ত্রিসভা এতে অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি ব্যাংকে পরিবারের সদস্যদের পরিচালক পদে বসিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সরকার ব্যাংক কোম্পানি আইন করে। এর পর আরো কয়েক দফা সংশোধনের মাধ্যমে এ আইনকে হালনাগাদ করা হয়। সম্প্রতি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের দাবি জানান। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন বিএবি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন এবিবি পৃথকভাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আইন সংশোধনের প্রস্তাব করে। অর্থমন্ত্রী তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনে সায় দিয়েছিলেন।