গৃহকর্মী ও পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
রাজধানীর পল্টন ও মুগদা এলাকা থেকে গৃহকর্মী ও পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পল্টনের চামেলীবাগ এলাকার গ্রিন পিস নামের একটি ভবনের সপ্তম তলা থেকে জেসমিন বেগম ফরিদা (১৮) নামের এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে উদ্ধারের পর ময়নাতদ্ন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গৃহকর্ত্রীর বরাত দিয়ে পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম আকন্দ জানার, ফরিদা গত চার বছর ডা. জাকির হোসেন আকন ও হাসনাত জাহান দম্পতির বাসায় কাজ করতেন। গতকাল রাতে সেই বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন ফরিদা। পরে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মুগদার উত্তর মানিকনগর এলাকার একটি বাসা থেকে শাহনাজ (১৮) নামের এক পোশাকশ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মুগদা থানার পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। শাহনাজ ভোলা সদর উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক খান জানান, শাহনাজ উত্তর মানিকনগর এলাকার কুমিল্লা পট্টির ৪২/ডি নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় ছোট বোনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বাসার মালিক শমসের আলীর বরাত দিয়ে এসআই আরো জানান, স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে শাহনাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত রাত ১০টার দিকে বাসার সামনে প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। ছেলেটি চলে গেলে শাহনাজ ঘরে ছোট বোনকে বাইরের দরজা বন্ধ করে আসতে বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর ছোট বোন ডাকাডাকি করলেও শাহনাজের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে ছোট বোনের চিৎকার শুনে ঘটনা জানার পর বাসার মালিক পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহনাজকে উদ্ধার করে।