এবার মঙ্গলে গাছের সন্ধান!
মঙ্গলে নারীর আদলে গড়া মূর্তি, পানি, পাতালপুরী, পিরামিড আর ইঁদুরের সন্ধান পাওয়ার খবরগুলো জানেন নিশ্চয়ই! যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার (নাসা) মঙ্গলচারী যান ‘কিউরিওসিটি রোভার’-এর পাঠানো ছবিতে এসব নমুনা দেখে লাল গ্রহ সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল বেড়ে গিয়েছিল আরো। সেই কৌতূহল মেটাতেই কি না মঙ্গলচারী যান ‘কিউরিওসিটি’ মর্ত্যের মানুষের ‘কিউরিসিটি’ মেটাতে পাঠাচ্ছে বিস্তর ছবি। আর নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ছবিগুলোতে লাল গ্রহের সঙ্গে নিজেদের ‘নীল গ্রহ’ পৃথিবীর মিল খুঁজছে মানুষ। সেই মিল খোঁজার ধারাবাহিকতায়ই সম্ভবত এবার মঙ্গলে প্রাচীন এক বৃক্ষের গুঁড়ির সন্ধান পেয়েছে মঙ্গলপ্রেমীরা। খ্যাতনামা ওয়েবসাইট ‘প্যারানরমাল ক্রিউকিবল’-এ সম্প্রতি প্রকাশিত কিউরিওসিটির পাঠানো এক ছবি এমন ধারণাই বদ্ধমূল করেছে। কিউরিওসিটির পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, মঙ্গলের মাটিতে দেখা যাচ্ছে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা এক গাছের গুঁড়ি। এর কদিন পরে মঙ্গলচারী যান আরো কিছু ছবি পাঠায়, যাতে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের এক জায়গায় সারি সারি গাছের গুঁড়ি দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য একে গাছের গুঁড়ি বলতে নারাজ। প্যারানরমাল ক্রিউকিবলের লেখাতেই বিশেষজ্ঞরা একে পাথরের টুকরো বলে ব্যাখ্যা নিয়েছেন। এর আগে গত বছরের শেষদিকে কিউরিওসিটি মঙ্গলের এমন কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে ‘মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান’ নিয়ে পৃথিবীতে চালু বিতর্ক উসকে দিয়েছিল। ওই ছবিতে দেখা গেছে, কম্বোডিয়ার আঙ্করভাটের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে একটি মন্দির দেখা যাচ্ছে মঙ্গলে। তবে অনেকেই দাবি করেছেন, একটি নয়, ছবিতে মন্দির আছে দুটি। একটির ভেতরে আবার মূর্তিও দেখা যাচ্ছে। তবে এটা সত্যিই কোনো মন্দির নাকি পাথরের স্তূপ, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউই। তবে বরাবরের মতোই মঙ্গলে গাছের ছবি নিয়ে এই বিতর্কে কোনোভাবেই অংশ নেয়নি নাসা। আর এতেই পৃথিবীর মানুষের কৌতূহল বাড়ছে বেশি। অনেকে আবার বলছে, এ নেহাতই আলো-আঁধারির খেলা অথবা লাঠি দেখে সাপ ভাবার মতো বিষয়। তবে এ ‘বাস্তববাদী’ বচনেও মানুষের আগ্রহ কমছে কই? আর এ আগ্রহ জিইয়েই নাসার ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে তর্ক ও বিতর্ক। এ আলোচনা কতটা সঠিক বা ফলপ্রসূ, সেটা আগামী সময়ই বলতে পারবে। তবে মানুষের কৌতূহলে বাধা দেয় এমন ক্ষমতা কার!