ক্রিকেট খেলোয়াড়দের বেতন ৪ লাখ টাকা, মাসিক বেতন ছাড়া অতিরিক্ত ভাতা রয়েছে
সরাসরি না হলেও বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা দাবি করে আসছিলেন, তাঁদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর। সম্প্রতি জাতীয় দলের পারফরম্যান্স উন্নতির দিকে থাকায় এই দাবি আরো জোরালো হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এতদিন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও শেষ পর্যন্ত মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিসিবির এক সভায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের পাঁচটি গ্রেডে বেতন-ভাতা দেবে বিসিবি। এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে ‘এ প্লাস’ গ্রেডের ক্রিকেটাররা মাসিক বেতন পেতেন আড়াই লাখ টাকা। সে বেতন বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে চার লাখ টাকা। আর ‘এ’ গ্রেডের ক্রিকেটারদের বেতন দুই লাখ থেকে তিন লাখ, ‘বি’ গ্রেডের খেলোয়াড়রা দেড় লাখ থেকে দুই লাখ, ‘সি’ গ্রেডের এক লাখ থেকে দেড় লাখ এবং ‘ডি’ গ্রেডের খেলোয়াড়দের ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়। আর ম্যাচ ফি টেস্টে দুই লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ, ওয়ানডেতে এক লাখ থেকে দুই লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। গতবারের চুক্তিতে ‘এ’ প্লাস গ্রেডে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। আর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছিলেন ১৫ জন। এবার তা বাড়িয়ে ১৬ জন করা হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক সূত্রে জানা গেছে, নতুন চুক্তিতে তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেনের নাম আসতে পারে। বাদ পড়তে পারেন নাসির হোসেন, আরাফাত সানি ও আল আমিন হোসেন। ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে উইনিং বোনাসও বাড়াচ্ছে বিসিবি। টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষ তিন দলের বিপক্ষে জিতলে বোনাস তিন হাজার মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে হচ্ছে চার হাজার ডলার। এমনি করে অন্য দলগুলোকে হারালে পর্যায়ক্রমে বোনাস বাড়বে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতেও সে বোনাস দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাসিক বেতনের সঙ্গে দায়িত্ব ভাতা অতিরিক্ত হিসেবে অধিনায়ক ২০ হাজার এবং সহ-অধিনায়ক ১০ হাজার টাকা করে পাবেন।