কিশোরগঞ্জে গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গণধর্ষণের পর ফজিলা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম বাবু (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের বাড়ীমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নিচতলার কমনরুমে তার মরদেহ পড়ে ছিল। নিহত ফজিলা বেগম একই ইউনিয়নের কুটিয়ালপাড়া গ্রামের দিনমজুর বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী ও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ফজলে মাহমুদের মেয়ে। বর্তমানে জামাই-শ্বশুর দিনমজুরের কাজে কুমিল্লায় রয়েছেন। নিহত ফজিলার বড় বোন লতিফা বেগম জানান, তিনিসহ তার ছোট বোন ফজিলা বেগম গত তিন দিন হলো স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন।বাবার এক একর জমির মালিকানা নিয়ে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খয়রাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আনিছার রহমান ও মোখছার রহমান মোখলের সঙ্গে বিবাদ ও আদালতে মামলা চলছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামের খয়রাত হোসেনের স্ত্রী মনো বেগম এসে ফজিলাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর হতে ফজিলাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে স্কুলে ফজিলার মরদেহ পড়ে আছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মনো বেগমসহ তার স্বামী খয়রাত হোসেন ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- দৃর্বৃত্তরা ওই নারীকে অন্য কোথাও গণধর্ষণের পর হত্যা করে বাড়ীমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নিচতলার কমনরুম নিয়ে এসে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। যারা পালিয়ে গেছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।