১২তম স্পেকট্রাম দিবস স্মরণে গার্মেন্টস শ্রমিক মানববন্ধন
আজ ১০ এপ্রিল,(সোমবার) ২০১৭ইং, সকাল ১১ ঘটিকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০০৫ সালের ১১ই এপ্রিল আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে স্পেকট্রাম ভবন ধ্বসে ৬৩ জন শ্রমিক নিহত ও শতাধিক শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়। ১২তম স্পেকটার্ম দিবস স্মরণে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে গার্মেন্টস শ্রমিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। মানববন্ধন কর্মসূচীতে সংগঠনের সভাপতি নারী নেত্রী সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আফরোজ, প্রচার সম্পাদক মোঃ লিমন হাওলাদার, নারীনেত্রী রোকসানা আক্তার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর এর সভাপতি আবুল হোসাইন, সিএলএনবি’র চেয়ারম্যান হারুনূর রশিদ, জাতীয় গার্মেন্টস এন্ড দর্জি শ্রমিক জোট সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদ, জাতীয় গার্মেন্টস দর্জি সুয়েটার শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ রফিক, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি মোঃ মাহতাব উদ্দিন শহীদ, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া আরাফাত (সঞ্চয়) বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মোঃ শামীম খান, রেডিমেট গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক সাহানা আক্তার শিলা প্রমুখ । বক্তারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে ২০০৫ইং সালের ১১ এপ্রিল ঘটে যাওয়া স্পেকট্রাম এর ভয়াবহতা তুলে ধরে সরকার ও গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টসে দিনের পর দিন ভবন ধ্বস অগ্নিকান্ডসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এগুলো ¯্রফে দূর্ঘটনা নয়। মানব সৃষ্টি দূর্যোগ। যা ফৌজধারী অপরাধ বটে। এ ব্যাপারে সরকার ও মালিক পক্ষ কিছুদিন তাদের তৎপরতা দেখিয়ে সমাধান না করেই থেমে যান। যার ফলশ্রুতিতে বায়ার গোষ্ঠী বাংলাদেশের গার্মেন্টস পন্য কমদামে বিক্রিতে বাধ্য করছে এবং তাতে আন্তর্জাতিক পর্যায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যে কোন দুর্ঘটনার পরপরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সে কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না; এমনকি তদন্ত কমিটির সুপারিশও বাস্তবায়ন করা হয় না। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি, পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপদ কর্মস্থল ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারকে এর ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বাংলাদেশ শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্তি করার দাবী জানান।
Share!