রাঙামাটিতে বৈসাবি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
আনন্দ ও উন্মাদনায় রাঙামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আজ রোববার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। প্রতি বছর এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে মূলত বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাহাড়িরা এতে অংশ নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা এই শোভাযাত্রায় নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক গায়ে দিয়ে তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন। আনন্দ-আমেজে বৈসাবির উপলক্ষ সবার কাছে পৌঁছে দেয় এই শোভাযাত্রা। এর আগে আজ রোববার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে রাঙামাটি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। এতে উদ্বোধক ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। রাঙামাটি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, সাংক্রান, বিষু, বিহু উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক লাল দেওয়ান, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিজয় কেতন চাকমাসহ অন্যান্য নেতারা। এ সময় বক্তারা দেশবাসীকে বর্ষবরণ ও বিদায়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম সংস্কৃতিতে রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সংগ্রামে সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। আনন্দের উচ্ছ্বাসের এই সময়েও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে উৎসব পালন করতে হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা। এ সময় রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।