কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও মনিরুল হক সাক্কু ভোট দিয়েছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমিল্লা মডার্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হোচ্ছামিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে সাক্কু ও সীমা ছাড়াও আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ১১৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থী ৪১ জন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ওই সিটিতে নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১১৯ জন। ২৭টি ওয়ার্ড ও নয়টি সংরক্ষিত আসন আছে। ভোটকেন্দ্র আছে ১০৩টি। ২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে এক করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়। এর পরের বছরই অনুষ্ঠিত হয় সিটির প্রথম নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খানকে পরাজিত করেন। মনিরুল হক সাক্কু আবারও মেয়র পদের জন্য নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে লড়ছেন আফজল খানের মেয়ে ও সিটির সাবেক কাউন্সিলর আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি বিলুপ্ত পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। বিলুপ্ত পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীজুড়ে টহলে নামেন বিজিবি সদস্যরা। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৬৭৮ জন পুলিশ, এক হাজার ২৩৬ জন আনসার, ৪৮০ জন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ৩২২ জন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন ৩৬ জন।