হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের ফোন তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার নিজেই তল্লাশির তদারকি করছেন। হোয়াইট হাউস থেকে সংবাদমাধ্যমে তথ্য পাচার রোধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম গতকাল রোববার হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের ফোন তল্লাশিসংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করেছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি বেশ জোরের সঙ্গেই ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ করছেন। বলছেন, গোপন তথ্যসূত্র উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে হবে।নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএনের মতো মর্যাদাসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রোষানলের শিকার। হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তাব্যূহ ভেদ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম প্রতিদিনই নানা অব্যবস্থাপনার সংবাদ প্রকাশ করছে। এবার সরষের ভেতর ভূত খোঁজা শুরু হয়েছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি টেলিফোন তল্লাশি শুরু করেছেন। গোপন সব কথা কে বা কারা পাচার করছেন, এ জন্যই এই তল্লাশি চলছে।ফক্স নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে, প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার হোয়াইট হাউসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠান। বাইরে পাচারের কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলেও কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ ধরনের অ্যাপসের খোঁজ করা হয়। এসব অ্যাপস দিয়ে প্রযুক্তিগত সংকেতের মাধ্যমে তথ্য পাচার হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের অ্যাপসে বার্তা পাঠানোর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। কোনো প্রমাণ থাকে না।সাম্প্রতিক কালে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বেশ কিছু স্পর্শকাতর সংবাদ পরিবেশন করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। সংগত কারণেই এসব সংবাদসূত্রের নাম গোপন রাখতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ কারণেই বারবার বলছেন, তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে ভুয়া গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করছে। হোয়াইট হাউসের গোপন সংবাদ পাচার ঠেকাতে এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।পলিটিকো তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার কেবল ফোন তল্লাশিই করেননি; অনেক কর্মকর্তার অন্যান্য প্রযুক্তও তল্লাশি করেছেন। একদিকে গোপন তথ্য পাচার নিয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস রয়েছে, অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয় রয়েছে খোদ হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে। গোপন তথ্যসূত্রের বরাত দিয়ে তাঁদের এমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার খবরও দ্রুত মার্কিন মিডিয়ায় আসছে।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে সবাই তা মনে করছে না। একদল সমর্থক এই সপ্তাহান্তে টাইমস্কয়ারসংলগ্ন নিউইয়র্ক টাইমস ভবনের পাশে সংহতি সমাবেশ করেছে।নাগরিক অধিকার আন্দোলনের এসব সংগঠক বলছেন, কঠিন সব সত্যপ্রকাশের মাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো পত্রিকা আজকের এই অবস্থানে এসেছে। সংবাদমাধ্যম নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে তাঁরা উল্লেখ করেছেন।
Share!