গতকাল শেষ বিকেলে শুভাশিস রায়ের বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়েছিলেন ভারত ‘এ’ দলের অভিনব মুকুন্দ। বাংলাদেশের ২২৪ রানের জবাবে ভারতীয় দলের রান তখন ৪১। সেই অবস্থা থেকে সংগ্রহটা ২০০ ছুঁইয়েই বিচ্ছিন্ন হলেন প্রিয়াঙ্ক কিরিত পাঞ্চাল ও শ্রেয়াশ লিয়ার জুটি। ১৫৯ রানের দারুণ এই জুটির সামনে ফুটে উঠল বাংলাদেশের বোলারদের অসহায়ত্বও। শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের খুব সহজে খেলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়াশ। সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাঞ্চালও (অপরাজি ১০০)। ২ উইকেটে ২৪৩ রান তুলে ভারতীয় ‘এ’ দল এগিয়ে গেছে ১৯ রানে। সেঞ্চুরি করে বিশ্রামে যাওয়াই শ্রেয় মনে করলেন শ্রেয়াশ। নিজে উঠে গিয়ে সুযোগ করে দিলেন আরেক ব্যাটসম্যান ইশনাক জাগ্গিকে। জাগ্গির ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান।
জিমখানা মাঠের বাউন্সি উইকেটের সুবিধা একেবারেই নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শফিউল, তাসকিন যথাক্রমে ১০ ও ৯ ওভার করে বল করে রান দিয়েছেন ৫০ ও ৪৯। ১১ ওভারে মিরাজের খরচ ৬৬ রান। তাইজুল ১১ ওভারে দিয়েছেন ৪৫। দলের সেরা বোলার ওই শুভাশিসই। ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে বল হাতে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্যটা তো তাঁরই।গতকাল ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে এই দুই দিনের ম্যাচে ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম করেন ৫৮। ফিফটি করেন সৌম্য সরকারও (৫২)। এ ছাড়া সাব্বির রহমান করেন ৩৩। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। লিটন দাসও অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে।
বাংলাদেশের বোলারদের অসহায়ত্বও।
Share!