প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও ওয়াশিংটনের রাস্তায় জ্বলছে একের পর এক বিলাসবহুল গাড়ি। রাস্তার একাদিকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, অন্যপ্রান্তে তখন কয়েক হাজার ট্রাম্প বিরোধী সমর্থক। দফায় দফায় স্লোগান উঠছে : ট্রাম্প তোমাকে চাই না। তোমায় আমরা মানি না। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছে হলিউডও। এদিন হলিউডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ আসলে ব্যাটম্যান সিনেমার ভিলেন বেনের মতো।শুধু ওয়াশিংটন নয়, আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ছোট-বড় বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত ২১৭-রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় পুলিশকর্মী। শনিবার সকাল থেকে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ঘিরে রয়েছে। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের একজন মুখপাত্র কোনও কোনও জায়গার বিক্ষোভকে দাঙ্গার সঙ্গে তুলনা করেছেন। পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা দোকানে ইট-পাথর ছুঁড়ছে। রাস্তায় রাখা ডাস্টবিনগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুন লাগানো হয়েছে একাধিক গাড়িতেও। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মরিচ, জল স্প্রে করেছে। সিএনএনের খবরে জানা যায়, এ পর্যন্ত ২১৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ কর্তা পিটার নিউসাম বলেন, তিনজন পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত লেগেছে। অন্যদের আঘাত তত গুরুতর নয়। ট্রাম্প অবশ্য নিজে বিক্ষোভের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর অনেক রিপাবলিকান সমর্থক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ অবৈধ। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তারা ট্রাম্পের নাগরিক স্বার্থবিরোধী যেকোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তাদের লক্ষ্য, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ট্রাম্প যেন মনে রাখেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।তবে মার্কিন ইতিহাসে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ১৮৬১ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে জমায়েত হয়। তাদের অনেকেই সশস্ত্র ছিল। সম্ভাব্য হামলা এড়াতে লিঙ্কনকে গোপনে অভিষেক কেন্দ্রে হাজির করাতে হয়েছিল
প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও ওয়াশিংটনের রাস্তায় জ্বলছে গাড়ি
Share!