বোমায় আহত শিশুটি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। জ্ঞান ফিরলেও শিশুটি আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কোনো কথা বলেনি। তার শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের রেজিস্ট্রার জেসমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির খাদ্যনালিতে ১২-১৩টি ছিদ্র ছিল। তার অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। খাদ্যনালির বেশ কয়েক জায়গা কেটেও ফেলা হয়েছে।চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, শিশুটির জ্ঞান ফিরে এলেও সে কথা বলার মতো সুস্থ নয়। একরকম নির্বাক পড়ে আছে। তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ।হাসপাতালে গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসকেরা তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসক মোশতাক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শিশুটির পেটের নাড়িতে স্প্লিন্টারের আঘাতে পাঁচটি ফুটো হয়েছে।অস্ত্রোপচারের আগে তার অক্সিজেন মাস্ক খোলার পর সে তার নাম সাবিনা, বাবা ইকবাল আর মা শাকিরা বলেও জানায়।গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পুলিশ আশকোনার নির্মাণাধীন তিনতলা একটি ভবন ঘিরে ফেলে। ভবনের নিচতলার একমাত্র ফ্ল্যাটে ছিলেন তিন নারী, তিন শিশু ও এক কিশোর। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশের আহ্বানে আত্মসমর্পণ করেন দুই নারী। সঙ্গে দুই শিশু। ঘণ্টা তিনেক পর এক শিশুকে নিয়ে বের হন আরেক নারী। কয়েক কদম এগিয়েই তিনি শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। আর শিশুটি গুরুতর আহত হয়। তার নামই সুমি
বোমায় আহত শিশুটি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়
Share!