বাংলাদেশ দলের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে আরও আগেই—সেটি দেশের বাইরে ভালো খেলা। ২০১৫ এর বিশ্বকাপের পর থেকে ঘরের মাঠে নিয়মিতই বড় বড় দলগুলোকে চমকে দেওয়া গেছে। কিন্তু দেশের বাইরে ভিন্ন কন্ডিশনেও কি এই সাফল্যধারা ধরে রাখা সম্ভব? নিউজিল্যান্ড সফরে এই প্রশ্নেই পরীক্ষার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া হয়ে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে আজ রাতে উড়াল দেবে দলের প্রথম অংশ। কাল বিপিএল শেষ হলে বাকিরা যাবে পরশু। অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করে সিডনি থেকে নিউজিল্যান্ড যাত্রা ১৯ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি আর দুই টেস্টের নিউজিল্যান্ড সফরটাকে দেখছেন ‘নতুন চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে। তবে ২০১৫-এর বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডে খেলা ম্যাচ দুটির পারফরম্যান্স আশাবাদী করছে তাঁকে, ‘অবশ্যই এটা একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। তবে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে আমরা ভালো খেলেছি। সেটি নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমাদের নতুন লক্ষ্যই হলো বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা।’
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির সৌজন্যে ২৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। মার্টিন গাপটিলের পাল্টা সেঞ্চুরিতে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছিল ৪৯ তম ওভারে গিয়ে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩১৮ রান টপকে।
টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিক। অপরিচিত কন্ডিশনে টেস্টের চ্যালেঞ্জ নিয়েই তাই তিনি বেশি চিন্তিত, ‘আমাদের পেস বোলাররা ভালো। ওই কন্ডিশনেও তারা ভালো করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আমরা আসল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব ব্যাটিংয়ের সময়ই। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সুইং সামলানোটাকেই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছি।’ মুশফিক বলে দিলেন সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের মন্ত্রটাও, ‘ব্যাটসম্যানদের সবাইকেই পারফরম করতে হবে। একতাবদ্ধ হয়ে আমরা কাজটা করতে পারি এই সফরটা আমাদের জন্য ভালো হবে ইনশা আল্লাহ।’ আজ রাতের উড়ালে মুশফিকের সঙ্গী হবে বিপিএলের অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা। তাঁর দল বরিশাল বুলস সাত দলের মধ্যে সপ্তম। এটি যেমন হতাশার, তেমনি আশা জাগাচ্ছে বিপিএলে মুশফিকের নিজের পারফরম্যান্স। ১২ ম্যাচে ৩৪১ রান করে এখন পর্যন্ত আছেন টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে। মুশফিক নিউজিল্যান্ড সিরিজেও ধরে রাখতে চান এই ধারাবাহিকতা, ‘বিপিএলে আমাদের দল ভালো করেনি বলে আমি হতাশ। তবে আমার নিজের পারফরম্যান্স খুব খারাপ ছিল না। আরও হয়তো ভালো খেলতে পারতাম। নিউজিল্যান্ডেও লক্ষ্য থাকবে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার। দলের লক্ষ্যও তাই থাকবে—প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা।’
দেশের মতো বিদেশের মাটিতেও ভালো দল হয়ে ওঠার পূর্বশর্ত এগুলোই।
বরিশাল বুলস সাত দলের মধ্যে সপ্তম
Share!