প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশের চ্যানেল নেয় না। আমি যদি এই প্রশ্ন করি, আমরা কেন হুমড়ি খেয়ে পড়ি?’ গতকাল শনিবার গণভবনে হাঙ্গেরি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ভারতের চ্যানেল আমাদের এখানে দেখাতে যে ফি নেওয়া হয়, আমাদের চ্যানেল ভারতে দেখাতে অনেক বেশি ফি দিতে হয়। এই বৈষম্যের ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে তো কেবল অপারেটররাই সাধারণত এগুলো হায়ার করে। এখন ইন্ডিয়ান যারা তারা নেয় না, আর আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ি কেন? আমি যদি এই প্রশ্ন করি? তারা কেন নিতে চায়?’ তিনি আরও বলেন, ‘…এখন আমারও এই প্রশ্ন যে ওখানে যদি আমাদের টেলিভিশন যেতে চায় তাহলে যে টাকা তারা ফি ধরে, তাহলে আমাদের এখানে কেন কম। আর এই ফি-টা কে নির্ধারণ করে? আমি তো সেটাও জানি না। …এটা কি ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্টের ফি? আমাদের গভর্নমেন্টের কোনো ফি নাই? তাহলে আমরা দেড় লাখ টাকা কেন করলাম? আমি তো জানি না এটা। সত্যি কথা বলতে কি, কেব্ল ব্যবসা তো আমরা করি না, সেটা জানিও না। আপনারা করেন, আপনারা বলতে পারতেন। আপনারাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। কার চ্যানেলটা আগে যাবে, সেটা ম্যানেজ করেন…এ জন্য একেক এলাকায় চ্যানেলের একেক রকম অবস্থা। যার যত বয়স বেশি সে তত আগে পাবে। সেটা আমি জানি। এ বিষয়টা এত ডিটেইলস জানা ছিল না যে এ রকম বিরাট একটা বৈষম্য আছে। যা হোক, এটা নিয়ে আলোচনা চলছে এটা আপনারা জানেন। নিশ্চয় এটার একটা ব্যবস্থা হবে।’সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০-১২ জন, ১২ জন। মানে নবাব তো বেশি থাকতে পারে না, কারণ একেক দেশে নবাব তো কমই থাকে। সে জন্য তারা নবাব হয়ে গেছে। সংবাদপত্র জগতের নবাব হয়ে বসেছে, এই তো? না না… এইটা বলতে চাচ্ছেন তো? সংবাদপত্র জগতের, মানে একটা গোষ্ঠী নবাব হয়ে বসে আছে, নবাবী আমল তো এখন নাই, এখন আপনারা ব্যবস্থা নেন।’
আমরা কেন হুমড়ি খেয়ে পড়ি?-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
Share!