Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

দখল ও দূষণ করে যারা নদীর প্রাণহানি করছে-তারা নিষ্ঠুর, বর্বর ও এই যুগের রাজাকার-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী

দখল ও দূষণ করে যারা নদীর প্রাণহানি করছে-তারা নিষ্ঠুর, বর্বর ও  এই যুগের রাজাকার।  নদীর দূষণরোধে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ২০১৮ সালের মধ্যে নদীর দূষণরোধে প্রাথমিক সুফল দেখাতে পারবো বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (অ্যালার্ট) আয়োজিত ‘নদী ও আমাদের অর্থনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।অ্যালার্ট এর সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এস আই খান, ডা, সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট, অ্যাডভোকেট  মো. জাকির হোসেন ও আমিনুল হক ভূইয়া।মন্ত্রী বলেন, ‘নৌ পথকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো। নদীর দখল ও দূষণরোধে নির্মম ও কঠোর হবো। নদী বাঁচাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করবো।’ নৌ মন্ত্রী বলেন, ‘নদী খননের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজারের প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এরপরে কোনও সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’শাজাহান খান বলেন, ‘দেশে এক সময় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল। বিগত সরকারগুলোর অবহেলার কারণে, তা বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯-২৩ মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ ও বিশেষায়িত ১২টি নৌপথ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদী খনন ও নৌবন্দর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ২০০ কোটি  টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পুনর্খনন করে নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সদরঘাটসহ ১৪টি ফেরিঘাট ও সংলগ্ন লঞ্চঘাটসমূহের ইজারাদারী ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে যাত্রী সেবা উন্নত করা হয়েছে। ঢাকার পোস্তগোলাস্থ শ্মশানঘাট এলাকায় একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। নদীর জায়গা যাতে পুনরায় দখল না হয়, সেজন্য ঢাকার চারপাশে ২০ কিলোমিটার ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।’শাজাহান খান বলেন, ‘নতুন নতুন ফেরি রুট চালু করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেযোগ্য হলো- আরিচাঘাট থেকে পাবনার নবদাহ ঘাট এবং জামালপুরের বাহাদুরাবাদঘাট-গাইবান্ধার বালাসিঘাট।’ তিনি বলেন, ‘৩৮ বছরে বিআইডব্লিউটিসি’র সংগ্রহে ছিল ৩৮টি ফেরি। সরকারের গত মেয়াদে ১৭টি ফেরি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান মেয়াদে ১০টি ফেরি নির্মাণ চলমান রয়েছে।’

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top