শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ(শনিবার)। দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গতকাল(শুক্রবার) ষষ্ঠী পূজার বোধন শেষে সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। মহা সপ্তমী, সেই অনুযায়ী আজ থেকেই দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রি নয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। সপ্তমী পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক সঙ্গীত, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠান হবে। চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা–অর্চনা, দেবী–দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণ ও আরতির মাধ্যমে উৎসবে–আনন্দে মেতে ওঠবে সবাই।বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। আর দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এ পূজার আয়োজন করায় এ পূজাকে ‘বাসন্তী পূজা’ বলা হয়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধারে যাত্রার আগে শ্রীরাম চন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। এ জন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।শুক্রবার থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালিমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালিমন্দির, শাঁখারীবাজার ও তাঁতীবাজার, ডেমরার দেইল্যা পূর্বপাড়া পূজামণ্ডপসহ সারাদেশের পূজামন্ডপগুলো ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে ওঠেছে। শোনা গেছে চন্ডীপাঠ, উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা, ঢাকের বোল আর জয় মা দুর্গা জয়ধ্বনি। নানা বয়সী নারী পুরুষ দলবেধে আসছেন পূজামণ্ডপগুলোতে। যেন মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে পূজামণ্ডপগুলো।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারা দেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২৪টি বেশি। আর রাজধানী ঢাকায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২২৯টি মণ্ডপে।
দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু
Share!