চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্বামীকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক নারী। বুধবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় গিয়ে খুনের কথা স্বীকারের পর গ্রেফতার গৃহবধূর নাম খতিজা বেগম (৩২)।ওই নারীর তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহাবাদ এলাকার নাছির কন্ট্রাক্টরের ভাড়া ঘর থেকে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।সীতাকুণ্ড মডেল থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ জানায়, বুধবার রাত দুই শিশু সন্তান নিয়ে ৩২ বছর বয়সী এক নারী হাজির হন সীতাকুণ্ড থানায়। ওসিকে গিয়ে তিনি বললেন- ‘আমি স্বামীকে হত্যা করে এসেছি,আমাকে এ্যরেষ্ট করুন। মাদকসেবী স্বামী প্রতিদিন আমাকে মারধরসহ নানা নির্যাতন করতো আমি তা সহ্য করতে না পেরে তাকে মেরে ফেলেছি। হত্যার পর লাশ তোষক দিয়ে প্যাঁচিয়ে খাটের নীচে ফেলে রেখেছি। আপনারা গেলে দেখতে পাবেন।’থানায় ওই নারীর কথা শোনার পর রাত ৩টার দিকে তাকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।খতিজা বেগম বলেন,২০০০ সালে খালাত ভাই জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করি। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে সে নেশায় আশক্ত হয়ে পড়ে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসায় ফিরে সব সময় আমাকে চরম নির্যাতন করতো।পাশ্ববর্তী ঘরের ভাড়াটিয়া রহিম ভূঁইয়া বলেন,জাহাঙ্গীর নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীকে সব সময় মারধর করতো। অনেক সময় মহিলাটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদের ঘরে আশ্রয় নিতো।সীতাকুণ্ড মডেল থানার থানার ওসি জানান,বুধবার রাতে ওই নারী থানায় এসে তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে জানালে পুলিশের একটি টিম তাদের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্বামীকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ
Share!