রবিবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুল জলিল।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুল জলিলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাফায়েত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।.
উল্লেখ্য রবিবার (২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোল স্থল বন্দরের পণ্য গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে ২৩ নম্বর গুদামে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। এক পর্যায়ে তা বন্দরের পাশের পণ্য গুদাম ও পণ্যাগারের পাশে পোর্ট থানাভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়ও। এ সময় রাস্তায় মালামাল লোডিংয়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাংলাদেশি ট্রাক ও একটি ভারতীয় ট্রাকে আগুন ধরে যায়।সকাল সোয়া ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সাড়ে ১২টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ন্দর সূত্রে জানা গেছে, যেখানে আগুনের সূত্রপাত সেই গুদামে কাগজ, প্লাস্টিক দানা, মোটরপার্টস, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ওয়েট মেশিন ও তুলা ছিল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বন্দর ফায়ার সার্ভিসের লোকবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো যায়নি। যে কারণে পণ্য গুদাম ছাড়িয়ে আগুন আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে। তারা জানান, দেশের প্রধান এ স্থলবন্দরে এর আগেও ৫-৬ বার আগুন লেগেছিল। এবার তা আরও ভয়াবহ আকারে ছড়ালো।এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ভারতে আসা-যাওয়ার পথে থাকা যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস ইমিগ্রেশন পয়েন্টের কাছে আসতে পারেনি। যাত্রীদের বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হয়েছে। বাংলাদেশ কারাটে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী আহসান বাদল বলেন, ‘সীমান্ত পার হয়ে সকাল ৯টায় বেনাপোল এসে পৌঁছেছে। কিন্তু বাস আসতে না পারায় আমরা ঢাকায় ফিরতে পারছি না।’ তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় খোলা আকাশের নিচে বসে থাকায় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মারাত্মক কষ্ট হয়েছে।
Share!