শিগগিরই আরও দুই জঙ্গির ‘চ্যাপটার ক্লোজ’ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই দুই জঙ্গির একজন হলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার অন্যতম পরিকল্পক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম মারজান। আরেকজন সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়াউল হক জিয়া । পুলিশ মনে করছে, এই দুই জঙ্গিকে ধরতে পারলে আপাতত জঙ্গিদের লাগাম টেনে ধরা যাবে।
জঙ্গি দমনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা আজ রোববার সকালে জিয়া ও মারজানের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তাঁরা অনেক দূর এগিয়েছেন। দুই কুখ্যাত জঙ্গিকে তাঁরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবেন।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জের অভিযান থেকে তাঁরা দেখেছেন, জঙ্গিরা সব সময় সঙ্গে গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখছে। পুলিশের প্রথম লক্ষ্য হলো জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা। গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া। কিন্তু জঙ্গিরা পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও আত্মসমর্পণ করতে চায় না। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ কারণে পুলিশকে পাল্টা অভিযানে নামতে হয়। অভিযানের সময় জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করুক, পুলিশ সেটাই চায়।
নারায়ণগঞ্জের অভিযানের পর ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, তামিম চ্যাপটার শেষ হয়েছে। অন্য জঙ্গিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। জঙ্গিদের নির্মূল করা হবে। একই দিন রাজশাহীর বাগমারায় এক জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তামিমের চ্যাপটার শেষ হয়েছে। অচিরেই জিয়ার চ্যাপটার শেষ হবে। প্রশাসন তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।