গ্যাসের দাম বাড়াতে সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে আজ রবিবার। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এ শুনানি চলবে। শুনানির প্রথম দিনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।জানা গেছে, গ্যাসের আপস্ট্রিম খরচ, সঞ্চালন ভাড়া এবং ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে গত ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল সময়ের মধ্যে আবেদন করে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। একই সময়ে ৩০ মার্চ গ্যাসের ট্রান্সমিশন চার্জ পুনর্নির্ধারণের জন্যও আবেদন করে জিটিসিএল। প্রস্তাব যাছাই বাছাই শেষে গত ১৩ জুলাই এই বিষয়ে গণ-শুনানির দিন ধার্য করে কমিশন। আজ জিটিসিএল’র প্রস্তাব নিয়ে শুনানির পর আগামীকাল ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে। ১০ আগস্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, ১১ তারিখ বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ১৪ আগস্ট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ১৬ আগস্ট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, ১৭ আগস্ট সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি এবং ১৮ তারিখ গ্যাসের বাল্ক মূল্যহার নিয়ে পেট্রোবাংলা, বিজিএফসিএল, এসজিএফএল ও বাপেক্সের আবেদনের ওপর শুনানির কথা রয়েছে।প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ শতাংশ বাড়ানো হয়। বিইআরসি আইন-২০০৩ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে দুই বার দাম বাড়ানোর বিধান না থাকলেও ৮ মাসের মাথায় আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো।এদিকে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে শিল্প বিনিয়োগ মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। অপর দিকে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলে পরিবহন ও নিত্য পণ্যের বাজারে নৈরাজ্য দেখা দিবে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে সব সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
Share!