বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে গুলশানের বাড়িটি ছাড়তে হচ্ছে । আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ওই রায় দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, ভুয়া চুক্তিপত্র করে মনজুর আহমেদর নামে দখল করা হয়। পরে মওদুদের ভায়ের নামে নামজারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে তা মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদক। ভাই মনজুর আহমদের নামে বাড়ির মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তবে মওদুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বাড়ি আত্মসাতের মামলা বাতিল করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। রাজধানীর গুলশান-২-এর ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়ি নিজেদের বলে দাবি করেছেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এ বাড়ি আমাদের ক্রয়কৃত, সরকারি নয়। ১৯৮১ সাল থেকে আমরা এ বাড়িতে বাস করে আসছি।’ বিরোধী দলে থাকার কারণেই সরকার সাত বছর পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ। দুদকের মামলা কী কারণে বাতিল হলো, সে প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, একই ধরনের একটি মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তা সত্ত্বেও প্রতিহিংসাবশত দুদক এ মামলা করার কারণে তা বাতিল করেছেন আদালত। এদিকে এ রায়ের ফলে বাড়িটি মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে নামজারি করতে হবে না। ফলে ভাইয়ের নামে দখল করা বাড়িটি মওদুদকে ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, মনজুর আহমদের নামে নামজারি করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিলে রাজউকের করা আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে দুদকের মামলাটির অভিযোগ আমলে নেওয়া বৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মওদুদ ও তাঁর ভাই মনজুরের করা আপিল মঞ্জুর করায় মামলাটি বাতিল হয়ে গেছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাড়ি ফেরত চেয়ে রিভিউ করবেন
Share!