বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে তৃপ্তি খাতুন দম্পতির প্রথম সন্তান বায়েজিদ । চেহারা প্রায় বৃদ্ধ মানুষের মতো। দাঁত পড়ে গেছে, চোখ, মুখসহ শরীরের চামড়া ঝুলে পড়েছে। মা তৃপ্তি বলেন, বায়েজিদ অন্য দশটি শিশুর মত স্বাভাবিক নয়। প্রথমবার মা হয়ে সন্তানের এমন বেদনা সইতে পারছি না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বায়েজিদ বিরল ‘প্রোজেরিয়া’ রোগে আক্রান্ত। এ ধরনের মানুষের গড় আয়ু সর্বোচ্চ ১৩ বছর। তারা মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক এবং উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকিতে থাকেন । মা তৃপ্তি খাতুন বলেন, ‘আট মাস পর্যন্ত হামাগুড়ি দিতে পারত না। অথচ তিন মাসে সব দাঁত ওঠে। হাঁটা শিখতে ওর অনেক সময় লাগে; সাড়ে তিন বছর। স্বাভাবিক চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, বায়না সবই করে।’ বাবা লাভলু শিকদার বলেন, ২০১২ সালের ১৪ মে বায়েজিদের জন্ম। অনেক চিকিৎসক দেখিয়েছেন। চিকিৎসার পেছনে তিন-চার লাখ টাকা খরচ করেছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসা আর চাষাবাদ করে কুলিয়ে উঠতে না পারায় আর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মা তৃপ্তি খাতুন আরো বলেন, আমার সন্তান স্বাভাবিক কোনো শিশু নয়। এটা পিতামাতার জন্য এক ধরনের ট্রাজেডি যে, যখন তারা জানতে পারে তাদের সন্তান বেশি দিন বাঁচবে না।
মাগুরায় বৃদ্ধ শিশুর খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়!
Share!