দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দিনের পর দিন পানিবন্দি থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রেললাইনে পানি উঠে যাওয়ায়, জামালপুরের সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখন কেবল থইথই পানি। ১৯৮৮ সালে জামালপুরে ভয়াবহ বন্যায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানির সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০.৬২। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার দাঁড়িয়েছে ২০.৭১। এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি এসব মানুষের ঘরে খাবার নেই। গত ৭ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ৭ শিশু। পানি উঠে গেছে রেললাইনেও। দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র। টানা ১০ দিনের জলাবদ্ধতায় লালমনিরহাটে রোপা আমন, বীজতলা ও শাক-সবজি পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আছেন কৃষকরা। পানিতে তলিয়ে গেছে ২ হাজারের বেশি হেক্টর ফসলের ক্ষেত।বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। এছাড়া, মুন্সিগঞ্জে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের আরো নতুন নতুন এলাকা। পদ্মা তীরবর্তী বাড়ি-ঘর ছাড়াও তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।এদিকে, পদ্মা নদীর পানি বাড়ার ফলে, ফরিদপুরের সদর উপজেলার ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি
Share!