একজন ব্যক্তির পরিচয় জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে ফুটে উঠে বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন । আজ বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে “শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জন্ম সনদের ব্যবহার”শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা-২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ শিশু সনদ অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর জন্মের পর পরই তার জন্ম তথ্য নিবন্ধন একটি মৌলিক অধিকার। এর মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের পক্ষ হতে তার নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, জাতীয়তা ও স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত একটি সনদ পেয়ে থাকেন। বর্তমান আইন ও বিধিমালার আওতায় রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদেয় ১৭টি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ৪টি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন সনদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিশুর স্কুলে ভর্তি, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। মন্ত্রী বলেন, দেশে সার্বিকভাবে জন্ম নিবন্ধনের হার শতকরা ৮৭ ভাগ হলেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার সন্তোষজনক নয়-যা বর্তমানে শতকরা ৩ ভাগ এর নীচে। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিবন্ধন করা হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০০৪ অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন শতকরা ১০০ ভাগ করার কথা। আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের এ হার বৃদ্ধি করতে হবে। এটা না করা হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এরূপ অবস্থায় সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমনের প্রবণতা বাড়বে, সার্বিকভাবে শিশুর অধিকার সুরক্ষা কঠিন হবে। তাই ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন এবং বাল্যবিবাহ রোধে আজকের এ কর্মশালার আয়োজন সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। তাছাড়া ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেয়া হলে অবস্থার অনেক উন্নতি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
“শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জন্ম সনদের ব্যবহার”
Share!