অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে ডাটা এন্ট্রি ও এসইও সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন দেশীয় ফ্রিল্যান্সার বা মুক্তপেশাজীবীরা। কিন্তু দক্ষতার অভাবে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করতে পারছেন না তারা। এছাড়া পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রেও জটিলতার শিকার হতে হচ্ছে তাদের।বিশ্লেষকরা বলছেন, বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এক্ষেত্রে বিরাজমান সকল সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি। দক্ষ প্রোগ্রামার গড়ে তোলার পাশাপাশি পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।মাহমুদুর রহমান মিকি। অতীতে অনেক সংকটময় সময় পার করার পর, নতুন করে জীবন শুরু করেছেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে।তার মতো সারাদেশে প্রায় ৫ লাখ তরুণ, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে বছরে আয় করছেন প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার। এমন পেশাজীবীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়তই।কিন্তু,দক্ষতা না থাকায় এন্ট্রি লেভেল বা কোন কোন ক্ষেত্রে মিড লেভেলের কাজেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে তাদের।এছাড়া, বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতে যারা কাজ করছেন তাদের পারিশ্রমিক দেশে আনার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা সমস্যা।শুধু মিড লেভেলের কাজই নয়, প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বড় মার্কেট প্লেসে প্রোগ্রামিংয়ের মতো হাই লেভেলের কাজ করতে এখনো প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ। তাই দেশীয় ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্ট আরো সহজতর করতে হবে বলে মনে করছেন তথ্য-প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ এবং বেসিসের
প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান।তবে, প্রোগ্রামার তৈরির পাশাপাশি পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও উচ্চ বেকারত্বের দেশে ফ্রিল্যান্সিং আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই গুরুত্ব দিয়ে এ খাতের সব সমস্যার সমাধান করবে সরকার, প্রত্যাশা ফ্রিল্যান্সারদের।
প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতার অভাব, কাজ পাচ্ছেন না দেশীয় ফ্রিল্যান্সাররা
Share!