জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বর্তমান কৃষি ব্যবস্থা নানা কারণে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উচ্চমাত্রার দুর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে।”টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। এর মধ্যে রয়েছে- স্বল্প দামে উন্নত বীজ সরবরাহ, কৃষি কাজে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা, ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা হ্রাস, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব-পদ্ধতির কৃষির প্রবর্তন, কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, কৃষি উৎপাদন খরচ হ্রাস, কৃষক পর্যায়ে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি বিপণন ব্যবস্থা জোরদার।বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশের পথে থাকার হওয়ার এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী বর্তমানের দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে আরও ১০ শতাংশ কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।“আমরা মনে করি দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম উপায় হচ্ছে শিক্ষার বিস্তার এবং মানবসম্পদের উন্নয়ন।”এ লক্ষ্যে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খাদ্য ও কৃষি উৎপাদন, জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধান সর্বোপরি দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশে খাদ্য নিরাপত্তা তৈরির ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত আইনি কাঠামো প্রণয়ন ও প্রয়োগে আমার সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও এতে অংশ নেন ভারতের কৃষিমন্ত্রী রাধা মোহন সিং, ভুটানের কৃষিমন্ত্রী যেশি দরজি, নেপালের কৃষিমন্ত্রী হরিবল প্রসাদ গাজুরেল ও পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তামন্ত্রী সিকান্দার হায়াৎ খান বোসান।
দুর্যোগে সার্কের সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
Share!