দিতির মৃত্যুর খবরটি সত্যিই মেনে নেয়ার নয়। বিএফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৩ সালে দিতি চলচ্চিত্রে আসে। আমি তার পরের বছরই চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখি। আমাদের বন্ধুত্বটা শুরু থেকেই মধুর ছিল। কখনোই আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরেনি। দিতি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একজন ভালো মানুষ, সর্বপরি একজন দায়িত্বশীল মা ছিলেন। কিন্তু এমন একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়েও দিতিকে সারাটা জীবন কষ্টই করতে হয়েছে। আমার বান্ধবীটা এ জীবনে খুব বেশি সুখ পেল না। সে সারাটা জীবন সংগ্রামই করে গেছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও বাঁচার জন্য লড়াই করেছে। অথচ এ বয়সে আমি, আমরা অনেকেই দিব্যি সুস্থ আছি। জানি না, এটা বিধাতার কোন খেলা। দিতি খুবই পরোপকারী ছিল। আমি দেখেছি, সে দুই হাত ভরে মানুষকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। অথচ আমি এমন কিছু মানুষকে দেখেছি, যারা দিতিকে বারবার ঠকিয়েছে। দিতির সঙ্গে খুব বেশি চলচ্চিত্রে আমি অভিনয় করিনি। তবে আমি এমন অনেক সহশিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করেছি যে, শুটিং করতে গিয়ে দেখেছি তাদের পলিটিক্সের কারণে আমার চরিত্রটির গুরুত্ব কমে গেছে। কিন্তু দিতির সঙ্গে যে ক’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি, আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। দিতি কখনোই ফিল্ম পলিটিক্স বুঝত না, করতও না। তাই তার সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগত। ‘হিংসার আগুন’, ‘অপরাজিত নায়ক’, ‘চার সতীনের ঘর’সহ আরো বেশ ক’টি চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে অভিনয় করেছি। শুধু তাই নয়; দিতির প্রযোজনা সংস্থা থেকে আমি নজরুলের বিশেষ দিবসের নাটকও নির্মাণ করেছি। আবার আমার নির্দেশনাতেও দিতি ‘সুরে অাঁকা ছবি’তে কাজ করেছে। তার মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
দিতি এখন শুধুই সৃতি
Share!