টাটকা, সুদৃশ্য ফলমূল মানেই যেন ফরমালিন। একটা সময় দোকানে সাজিয়ে রাখা সারি-সারি ফল দেখে ফরমালিনের ভয়ে আতকে উঠতেন ক্রেতারা।
তবে, চট্টগ্রামে ফলমূল থেকে অনেকটাই বিদায় নিয়েছে সেই বিষাক্ত রাসায়নিক। অন্তত, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বা বিএসটিআই এর পরিসংখ্যান তাই বলছে। সংস্থাটির হিসাবে, গত ছয়মাসে চালানো অন্তত ৭৫টি ফলের নমুনা পরীক্ষায় কোনটিতে মিলেনি ফরমালিনের অস্তিত্ব।
ফলমূলে ভয়ংকর বিষ ফরমালিন-এ যেন নিয়তি হয়ে দাড়িয়েছিল ভোক্তাদের। তাই, মাঝে মাঝে অভিযানে নামতে হয় ভ্রাম্যমান আদালতকেও। ধংস করা হয় ফলমুল।
তবে এমন আতংকের মধ্যেও স্বস্তি যোগাচ্ছে বিএসটিআইয়ের নিয়মিত পরীক্ষার ফলাফল। সংস্থাটি বলছে, দেড় বছর আগেও যেখানে সংগৃহীত নমুনার চল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ শতাংশ পর্যন্ত ফরমালিনের অস্তিত্ত্ব পাওয়া যেতো, সেখানে গত ছয়মাসে প্রায় পঁচাত্তরটি নমুনায় পরীক্ষা চালানো হলেও পাওয়া যায়নি কোনটাতেই।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ফরমালিন নিয়ে ক্রেতাদের ভীতি অনেক কমে যাওয়ায় ফলের বিক্রি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। তবে, ক্রেতারা বলছেন ফল কিনলেও শংকা কাটেনি পুরোপুরি।
তবে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে, ভিন্ন কোন রাসায়নিক ফলমূলে মেশানো হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরী।
সামনে ফলমুলের মৌসুম। তাই ফরমালিনচক্র যেন সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য জোরালো মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।