মমিনুল ইসলাম বাবু (কুড়িগ্রাম)
প্রতিনিধিঃ ০৭.০৩.১৬
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বালাচর নাছিরিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় লেখাপড়া যেমন তেমন, ভুয়া পদ সুষ্টি করে নিয়োগের হিড়িক পড়েছে। উদ্দ্যেশ্য প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া নয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগ বানিজ্য বলে অভিযোগ উঠেছে। যেন দেথার কেউ নেই।
জানা যায়, সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদের নাম, নির্দিষ্ট সংখ্যা রয়েছে। সে মোতাবেক ওই সকল পদে ও সংখ্যায় নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ বিধি লংঘন করে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ যোগসাজযে শিক্ষক,কর্মচারী পদ নামে তাদের মত পদ সৃষ্টি করে এলাকার কিছু প্রার্থীর কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করে। নিয়োগ প্রাপ্তগন যথারীতি মাদ্রাসায় যোগদান করে গত তিন মাস হতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসছে।
অনুসদ্ধানে জানা যায়, ২বৎসর পুর্বে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গ্রহন্থাগারিক পদে নুরে হাসানকে, ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পিয়ন পদে আঃ গফুর বাদশাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই পদে দুইজন কর্মরত থাকায় তাদের এমপিও এখনও হয় নাই ফলে তারা র্দীঘদিন থেকে বিনা বেতনে চাকুরী করে আসছে। নিয়োপ্রাপ্ত প্রার্থী চোখে অন্ধকার দেখেেছন এখন কি করবে তা ভেবে পাচ্ছেন না।
সভাপতি ও অধ্যক্ষ আবার নতুন কৌশল করে গত ১৬/১১/২০১৫ তারিখের সাক্ষাৎকার বোর্ডের সুপারিশে ও কার্যনিবার্হী কমিটির ১৯/১১/২০১৫ তারিখের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক,কর্মচারী পদে কযেকজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। একই পদে ২জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে গিয়ে নিয়োগের প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় অভিভাবক মহলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার কয়েকদফা মিটিং সালিশ হয় কিন্ত সুচাতুরী করে সভাপতি ও অধ্যক্ষ বিভিন্ন তালবাহনা করে আসছে। ফলে নিযোগ বিষয় কেন্দ্র করে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এলাকাবাসী সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিযোগ বানিজ্যের অভিযোগসহ বালাচর নুরুল হুদা দাখিল মাদ্রাসার জমি বালাচর নাছিরিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার নামে রেকর্ড করার বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছে।