Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম সংসদ

আজ ৫ মার্চ রোজ শনিবার ১২.০০ ঘটিকায় জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা  ও  প্রজন্ম  সংসদ এর উদ্দেগ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব একটি সংবাদ সম্মেলনের  আয়োজন করা হয়। এত সভাপতিত্ব করেণ জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা  ও  প্রজন্ম  সংসদ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হক শিকদার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহা-সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসউদ্দিন আজাদ। ৭ মার্চ বাংলাদেশের অভ্যুদয় দিবসকে “বাংলাদেশ দিবস” হিসেবে ঘোষণার দাবী করা হয়। এ দাবী বস্তবায়নের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল একটি গোলটেবিল বৈঠক ডাকার ঘেষণা দেয়া হয়। আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় সংবাদটি প্রচার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তায়নে আংশীদ্বারিত্ব করে রাখবেন।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের মহা সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসউদ্দিন আজাদ ।সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উত্তর এবং বক্তব্য দান করেন সংগঠনে সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জনাব ইন্জিনিয়ার আবুল হোসেন, এমএ খালেক স্বপন,খান মোশারফ হোসেন,অধ্যক্ষ এ্যাড: হুমায়ুন কবির ভুইয়া,্ এএসএম সামসুজ্জোহা আতিরিক্ত মাহা-সচিব সর্বজনাব, শরফুদ্দিন আহম্মেদ শরীফ, আঃ ওয়াহেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব  এ্যাড: খুরশিদ আলম স্বপন ও কামাল হোসেন বাদল।জনাব মনজুরুল হক কিদার এবং শামসউদ্দিন আজাদকে সভাপতি ও মাহা সচিব করে জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা  ও  প্রজন্ম  সংসদ এর ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রজন্ম সমন্বয়ে ২০১৩ সনের ৬ ডিসেম্বর “জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম সংসদ” নামে সংগঠনটি আত্বপ্রকাশ করে। সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের পরে বস্তুনিষ্ঠভাবে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে লালন করা এবং মুক্তিযুদ্ধের অংগীকার বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল নাগরিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মালিক। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাষ্ট্র গঠন আন্দোলনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে উম্মোচিত করতে চাই।বাঙালি জাতির ইতিহাসের সেরা মাস মার্চ। মার্চ মাস এখন চলছে । ৭১ সালে এমাসেই  বাংলাদেশ পৃথিবীর  মানচিত্রে আবির্ভাব ঘটিয়েছে। মার্চ মাসের প্রতিটি দিন জাতিয় জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বিশেষ করে  ৭ মার্চ ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম দিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ঐতিহাসিক দিনগুলো সামনে রেখে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস আজকের  সাংবাদিক সম্মেলন। প্রিয় বিজ্ঞ সাংবাদিকবৃন্দ আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপনের পূর্বে বাংলাদেশের দীর্ঘ্য মুক্তিসংগ্রামের সার সংক্ষেপ তুলে ধরছি। বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য আদি ও প্রাচীন। মানব সভ্যতা বিকাশের ধারায় দর্শন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং নিবিড় সামাজিক কাঠামো বিকাশে বাঙালি জাতির  অগ্রযাত্রা সুপ্রাচীন এবং  ইতিহাস সমৃদ্ধ। সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, প্রাকৃতিক স¤পদ ও সৌন্দর্যে ভরা বাংলাদেশ। আমাদের রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উর্বর ভূমি, প্রাকৃতিক স¤পদ, শক্তিশালী সমাজ কাঠামো. দক্ষ জনসম্পদ, প্রচুর মেধা ও মানসিক দৃঢ়তা, সর্বোপরি হাজার বছরের সভ্যতা। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সেরা অর্জন ৭১ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশর স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির গৌরবময় ধারা, সৃদীর্ঘ সংগ্রাম ও লড়াইয়ের প্রতিফলন আজকের বাংলাদেশ। ৪৭’ যে দিন পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তান নামে রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সেদিনই বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল।  পাকিস্তান সরকার জন্ম থেকেই বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উন্নয়ন, শিক্ষা, সংষ্কৃতি এবং সামরিক-বেসামরিক চাকুরীতে বৈষম্যসহ শোষণ, দমন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছিল। বাঙালিদের জাতীয় সত্তা¡কে বিপন্ন করার লক্ষ্যে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করে। মুখের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে জেগে উঠে বাঙালি। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মাধমে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি আদায় করে নেয়। আমরা বিশ্বাস করি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। চুয়ান্নোর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সোহ্রাওয়ার্দী-হক-ভাসানী যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার বিজয় পতাকা উড়তে শুরু করেছিল । পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী প্রধান স্বৈরশাসক সামরিক জান্তা যুক্তফ্রন্ট সরকারকে হটিয়ে প্রথম মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা ও পরে  ফিল্ড মার্শাল মোঃ আইয়ুব খান ৫৮ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করলেন। নতুন করে শুরুহলো বাঙালিদের উপর শাসন-শোষণ, নিপীড়ন, জেল-ঝুলুম ও নির্যাতন।  গণমানুষের মাঝে দানা বেঁধে  উঠলো পাকিস্তানী শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ। বাঙালি স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত হতে থাকে। পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব ‘৬৬ সালে উত্থাপন করলেন বাঙালীর মুক্তিসনদ ৬ দফা, যা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাথমিক ঘোষণা। গড়ে উঠলো স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস। বংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা প্রণীত হলো। জেলে নেয়া হলো শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের। রুজ্জু হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। জ্বলে উঠলো ছাত্র-জনতা কৃষক-মজুর। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে প্রণীত হলো ১১ দফা। সংগঠিত হল ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান। মুক্তি পেলেন গণমানুষের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।  শেখ মুজিবুর রহমানকে ভুষিত করা হল “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে। তিনি পরিণত হলেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতায়।সম্মানিত সাংবাদিক বৃন্দ পাকিস্তানী সামরিক জান্তার অধীনে অনুষ্ঠিত হল, ‘৭০ পকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের  নির্বাচন। জাতীয় পরিষদ এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। আরো ভয়ংকর হয়ে উঠল পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃত্ব ও পাকিস্তানী সামরিক জান্তা।  ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপনসহ  শুরুহল নানা রকম ষড়যন্ত্র। এদিকে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তৈরী হচ্ছিল জাগ্রত জনতা। বাঙালিরা পাকিস্তানীদের প্রতিরোধ করার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল।  সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে গড়ে উঠেছিল  ছাত্র বিগ্রেড। শুরুহল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। ২ মার্চ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসম আব্দুর রবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হলো। ৩ মার্চ  পল্টন ময়দানে শাজাহান সিরাজ পাঠ করলেন  বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসের পরিক্রমায় রচিত হল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।  ‘৭১-এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” অভ্যুদয় হল বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শুরুহল গণমানুষের শাসন “অসহযোগ আন্দোলন”। ৭ মার্চের ঘোষণার পরে আমরা ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা মুক্তিযুদ্ধের শপথ নিলাম। জোর প্রস্তুতি চলল মুক্তিযুদ্ধের। ৭ মার্চে আহব্বান ছড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তান সেনা ছাউনীতে বাঙগালি সৈনিকদের মাঝে। ১৯ মার্চ গাজীপুরে পাক সেনা ক্যাম্পে মেজর সফিউল্লার নেতৃত্বে বাঙগালি সেনারা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করলেন। ২৩ মার্চ রাতে ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে শুরু হল স্বসশ্র মুক্তিযুদ্ধ। ২৪/২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগসহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ দিলেন। অর্থাৎ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন বিধায়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার প্রহসনের আড়ালে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একাত্তরের ২৫ মার্চ  আলোচনা স্থগিত করে ঢাকা থেকে পালিয়ে গেলেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হল এবং  রাতের অন্ধকারে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ল নিরীহ বাঙালীদের উপর। শুরুহল হত্যাযজ্ঞ, লুন্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ। পুরো দেশটাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্য হিংস্র হায়েনায় পরিণত হল পাকিস্তানী হানাদাররা। ২৫ মার্চ গভীর রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন। তার নির্দেশে শুরুহল  প্রতিরোধ সশ¯্র  মুক্তিযুদ্ধ। ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল ঘটিত হলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পরাজিত হয়েছে, জয় হয়েছে বাঙালির। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এ যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। সম্ভ্রম হারিয়েছেন তিন লক্ষ মা বোন। এক কোটিরও বেশী মানুষ  ভারতে  আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত প্রাণের বাংলাদেশ। আজ স্বাধীনতার পয়তাল্লিশ বছর পরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তিকর বক্তব্য শোনা যায়। জাতীয় প্রশ্নে সকল দলও মতের জাতীয় ঐক্যমত জাতির প্রত্যাশা।  সেখানে জাতিয় প্রশ্নে নানারকম বিভক্তি যা আমাদের সকল অর্জনকে ম্লান করার অপচেষ্টা মাত্র। স্বাধীনতা বিরোধীদের মাথাচড়া দিয়ে উঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের দায় আমরা এড়াতে পারিনা। কেননা স্বাধীনতা বিরোধীদের  সমূলে নির্মূল করা ছিল আমাদের কর্তব্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যথাসময়ে করিনি। তাদের লুন্ঠিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করিনি।  ফলে তারা সময় সুযোগ বুঝে  মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেন, তারা সকলেই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী তাদের বাংলাদেশে কোন ঠাই নেই। মানবতা বিরোধী অপরাধে এদের সকলের বিচার করতে হবে।তাই আসুন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  উৎযাপন কালে আমরা আওয়াজ তুলি;সকল মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরো বেগবান করতে হবে। পাকস্তানী সকল ঘাতক সেনাসহ আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানী নরখাদক দানবদের আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ  ট্রাইবুনালে বিচার করতে হবে। পাকিস্তানের কাছে  আমাদের পাওনা আদায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। পাকিস্তান যেহেতু এখনও স্বাধীনতা বিরোধী জামাত ও তাদের দোসরদের মদদ দানসহ জঙ্গীবাদীদের সহায়তা দিচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তানের দুতাবাস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে। যারা প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে এখনও স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বা স্বাধীনতার অর্জনকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে  তাদের বিরদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে।জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম সংসদ বিশ্বাস করে ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত  হয়েছে।  ৭ মার্চ  বাংলাদেশ ভূমিষ্ট হয়েছে। আমরা মনে করি আপনারাও ৭ মার্চ ঘোষণা দিবস হিসেবে বিশ্বাস করেন। যেহেতু ২৬ মার্চ বাংলাদেশের “স্বাধীনতা দিবস” হিসেবে ৪৫ বছর যাবত পালিত হয়ে আসছে, তাই বাস্তবতার বিবেচনায় অতিতের সকল অর্জনকে অক্ষুন্ন রেখে ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে “বাংলাদেশ দিবস” ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী করছি। সাথে সাথে দেশের জনগনকে আহব্বান করছি আসুন আমরা সবাই মিলে  ৭ মার্চকে  “বাংলাদেশ  দিবস”  হিসাবে পালন করি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top