ফেনীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরে নবজাতককে লুকানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছিল তৌহিদুল আলম ওরফে সোহেল (৩৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার আদালত ওই মামলায় তৌহিদুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং একই সঙ্গে ওই নবজাতক আসামির সম্পত্তির অংশীদার হবে মর্মে আদেশ দেন।আজ বুধবার ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক নিলুফা সুলতানা এ রায় দেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন তিনি। আর ওই শিশুটির ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে তার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করারও আদেশ দেন আদালত।আসামি তৌহিদুলের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক। আসামি যেদিন গ্রেপ্তার হবেন বা আত্মসমর্পণ করবেন, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।ফেনী জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারীর ভাষ্য ও মামলার এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের প্রথম দিকে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। তৌহিদুল নবজাতককে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন এবং শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। সন্তান জন্ম নেওয়ার দুদিন পর এসব অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী তৌহিদুল, তাঁর দুই ভাই শাহেদ ও রুবেল, বোন মর্জিনাকে আসামি করে ফেনী সদর থানায় মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আজ রায়ে তৌহিদুলের দুই ভাই ও বোনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।