একদিকে সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের গর্জন, অন্যদিকে লালনের গানের সুর গত কয়েক দিন মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। পাহাড় আর সাগরের মিলনস্থল কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতে বসেছিল ‘লালন উৎসব’। গত বুধবার শুরু হয়ে এ উৎসব চলে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত। উখিয়ার রেজু নদের মোহনায় গড়ে ওঠা ‘মারমেইড ইকো বিচ রিসোর্ট’ আয়োজন করে তিন দিনের এই উৎসব।
গত তিন রাতে পূর্ণিমার আলো সৈকতের বালিয়াড়িতে ছড়িয়ে পড়লেই উন্মুক্ত আকাশের নিচে বসত লালনের গানের আসর। এই সংগীত আয়োজনে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ১০ বাউলশিল্পী গান পরিবেশন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাউলশিল্পী রব ফকির, শাহজাহান মুন্সী, জাহেদ ফকির, আনু ফকির, আকলিমা ফকিরানী, নজরুল ফকির, রেজা ফকিরসহ অনেকে।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লালনের গানের ভিন্নধর্মী এই আয়োজন নিয়ে মারমেইড ইকো বিচ রিসোর্টের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘লালনের জীবন ও গান বাঙালির জীবন-সংস্কৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে। আমাদের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মাঝে তুলে ধরতেই এ আয়োজন। পর্যটনশিল্পের বিকাশে এ রকম আয়োজন চলবে।
শেষ হলো সৈকতপাড়ে লালন উৎসব
Share!