ভাসমান চাষাবাদ পদ্ধতি জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেলেও; দেশের বেশিরভাগ কৃষকই এ সম্পর্কে জানেন না, তেমন কিছু।
তাই এটি ছড়িয়ে দিতে, সরকারি উদ্যোগ দরকার। এমনটাই মনে করেন, পদ্ধতিটিকে আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে যাওয়াদের একজন, ড. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চৌধুরী। বলেন, শুধু শাক-সবজি নয়; এই প্রযুক্তিতে অন্য ফসলের আবাদেও গবেষণা দরকার।
পানির ওপর কচুরিপানার চাতাল, তারওপর ফলেছে শাক-সবজি।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যাকবলিত ও হাওড় অঞ্চলে অনেকদিন ধরে হয়ে আসছে এই ভাসমান চাষাবাদ। সেই ব্যতিক্রম চাষ পদ্ধতিকেই সম্প্রতি টেকসই কৃষি প্রযুক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
এই চাষ পদ্ধতি নিয়ে অনেকধরে গবেষণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চৌধুরী। জাতিসংঘের স্বীকৃতির পিছনেও রয়েছে তার ভূমিকা।
তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করলেও ততটা পরিচিত নয় এ চাষাবাদ। দেশের কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া এ পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না বেশিরভাগ কৃষক। তাই এই চাষাবাদে খাপ খাওয়ানো এবং উদ্ধুদ্ধকরণে সরকারি উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
তবে শুধু শাক-সবজিই নয়, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবনে আরও গবেষণা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই গবেষক।