প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন ধরনের অপরাধ আইনের আওতায় আনতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবী ও প্রযুক্তিবিদরা।
তবে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড ও মত প্রকাশের মাধ্যমে কারো মানহানির বিষয়ে দেশে ইতোমধ্যে প্রচলিত আইন রয়েছে । তাই একই অপরাধে দুই শাস্তির বিধান থাকায় আইনটি বাতিল হয়ে যাবার সম্ভাবনাও আছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। তবে নতুন আইনের মাধ্যমে যেন জনমনে কোনো ভীতিকর অবস্থার তৈরী না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার, সেই সাথে বাড়ছে ঝুঁকিও। অনলাইনে লেনদেন বাড়ায় এ ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন বাস্তবতায় সাইবার অবরাধ থেকে রাষ্ট্র এবং ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে সরকার তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এরই মধ্যে আইনটির খসড়া করা হয়েছে।
আইনের অন্যতম দিক হচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাতে কেউ রাষ্ট্র বা ব্যক্তির নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করতে না পারে। এজন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবনায়। তবে মত প্রকাশের জন্য এমন দণ্ড কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয় বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
এরকম হুমকি বন্ধে দেশে বিদ্যমান আইন রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন আইনে এমন বিধান রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই আইনজীবী। তবে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। তাদের পরামর্শ, আইনটি এমন হওয়া উচিত যাতে কোন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এছাড়া বহুল আলোচিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে তা আরো স্পষ্ট করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।