জন্মহার, শিশু মৃত্যু কিংবা গড় আয়ুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সমসাময়িক দেশের চেয়ে বেশি হলেও তার প্রকৃত প্রতিফলন নেই অর্থনীতিতে। এমনকি পিছিয়ে রয়েছে মাথাপিছু আয় বাড়ানোর প্রতিযোগিতায়ও।
এজন্য শিক্ষার গুণগত মান, মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার আর কর্মমুখী শিক্ষার দুর্বলতাকে দুষছেন বিশ্লেষকরা। তাই তাদের পরামর্শ, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগুনোর। এমন সোনালী সূর্যে স্বাধীন বাংলাদেশে স্নিগ্ধ ভোর এসেছে অন্তত ষোল হাজার বার। কখনো অসীম সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে।
আর কখনো বা এসেছে ধ্বংসস্তূপের মাঝে ঘুরে দাড়াঁনোর সাহস জোগাতে। এদেশের মাটিতে ফলে সোনা। রচিত হয় সাফল্যের বীজ প্রতিনিয়ত। তাইতো বাংলাদেশ কেবল একটি দেশ নয় এখন বিশ্ব উন্নয়নের মডেল কিংবা বিশ্ব বাণিজ্যের সূতিকাগার। চুয়াল্লিশ বছরে বাংলাদেশ এগিয়েছে কতখানি? এমন হিসাব কষা হয়েছে বহুবার বহু আঙ্গিকে। তবে এটা সত্যি, বড় অর্জন আশি শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পঁচিশ শতাংশে নামিয়ে আনা। একই সাথে ৪৭ বছরের গড় আয়ুকে উন্নীত করা ৭১ বছরে।
এই সাড়ে চার দশকে কেবল মানব উন্নয়ন সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন পাশের দেশ ভারতের চেয়ে বেশি। কেবল তাই নয় বাংলাদেশ এগিয়েছে নিম্ন আয় এবং মধ্য আয়ের দেশগুলোর চেয়ে। যেমন ১৯৭১ সালে নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল ১৪৯।যা ২০১৩ তে নেমেছে ৩৪ এ। অথচ একই সমযের ব্যবধানে ভারতে তা ছিল ৪১। একইভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে শিশু মৃত্যু এবং জন্মহার কমানোর ক্ষেত্রে। তবে এখনো প্রশ্ন, মানব উন্নয়ন সূচকে এতো উন্নতির পরও তার প্রকৃত প্রতিফলন কেন নেই অর্থনীতিতে?
পঁয়তাল্লিশ বছরের দ্বারে এসে এখনো বাংলাদেশে দুশ্চিন্তার বড় নাম দুর্নীতি আর সুশাসনের অভাব। যা নিশ্চিত হলে দেশ এগুতে পারতো আরো অনেকখানি এমন মত অনেকের। তবে এসবের বাইরে এসে সাড়ে চার দশকের জন্মদিনটা হয়ে উঠুক আরো সম্ভাবনাময়- এমন স্বপ্ন আর প্রত্যয় ষোল কোটি মানুষে