খুব ঘটা করে কলকাতা পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। কিন্তু তার চেষ্টা ওই ‘চেষ্টা’ পর্যন্তই। কলকাতাবাসী তাকে সাধুবাদ জানাতে কৃপণতা করেছেন। অবশ্য তাদের মধ্যে দেশপ্রেম প্রবল বলেই হয়তো কোনো বিদেশিনীকে মনভরে স্বাগতম জানাতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। পাঠক নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কোন প্রসঙ্গে এ সব কথা বলা হচ্ছে। কলকাতায় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত মিম অভিনীত ‘ব্ল্যাক’ ছবির ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণে মেতে উঠেছেন সবাই। যৌথ প্রযোজনার নামে ‘যৌথ প্রতারণা’ দিয়ে ব্ল্যাক-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। আর সেই প্রতারণায় ধরা খেলেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রযোজক। সঙ্গে মিমও। আসলে দর্শকের বিচারই হচ্ছে সবকিছু। বাংলাদেশের নাম-ঠিকানা বাদ দিয়ে নিজেদের ছবি দাবি করে ভারতীয় প্রযোজকরা কলকাতায় ছবিটি ২৭ নভেম্বর মুক্তি দিয়েছে। নিজেদের নায়ক সোহমকে নিয়ে পার পেয়ে যাবে ভেবেছেন। কিন্তু বাংলাদেশী মিমও সঙ্গে রয়েছেন সেটা বোধহয় ভুলে গেছেন। আর মিমের কপালও নেহাতই মন্দ। না হলে কলকাতায় এভাবে মার খাবেন কেন? ব্যবসায়িকভাবে কলকাতায় ‘ব্ল্যাক’ পুরোটাই ব্যর্থ। দর্শক নেই। মিমের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে কলকাতার চিত্রসংশ্লিষ্টদের দাবি। কারণ ওখানকার দর্শকরা বাংলাদেশী কোনো নায়িকাকে নিজেদের পর্দায় জায়গা দিতে নারাজ। হৃদয়ে তো অনেক দূরের কথা! অন্যদিকে ব্ল্যাক-এর বাংলাদেশী নামসর্বস্ব প্রযোজক-কাম-পরিচালক কামাল কিবরিয়া লিপু কলকাতার কোর্টে নিজের অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে অভিযোগও ঠুকেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় আদালত সেটা খুব যে একটা আমলে নিয়েছে তা কিন্তু নয়। ছবি ঠিকই কলকাতার প্রযোজকদের নির্ধারিত সময়ে মুক্তি পেয়েছে। কেবল বাংলাদেশে পিছিয়েছে। এই পেছানোতেই মিমের ভাগ্য যে আরও খারাপ হতে যাচ্ছে সেটা দৃশ্যমান। কারণ আগামী দু’-একদিনের মধ্যে ‘ব্ল্যাক’-এর ডিভিডি বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যাবে। তাই ৪ ডিসেম্বর টিকিট কেটে নিশ্চয়ই বাংলাদেশী দর্শকরা মিমকে সিনেমা হলে দেখতে যাবেন না। তবে কী কলকাতার পর বাংলাদেশেও মিমের মিশন ব্যর্থ হতে চলেছে? উত্তরটার জন্য মাত্র দিনকয়েক অপেক্ষা করতে হবে। এই ব্যর্থতাকে ঢাকতে নতুনভাবে আবার মিথ্যাচার করছেন এ নায়িকা। মিডিয়ায় বলে বেড়াচ্ছেন, বলিউডের মহেশ ভাটকে তিনি নাকি ‘না’ করে দিয়েছেন। মহেশ ভাটের ছবিতে অভিনয় করার জন্য যেখানে নায়িকারা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করেন, সেখানে বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী সেটাকে নিষেধ করবেন এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আসলে মিমের কাছে এ ধরনের কোনো প্রস্তাবই আসেনি। ব্ল্যাক-এর ব্যর্থতা ঢাকতে এবং অন্যদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এমন মিথ্যাচার করছেন মিম।
কলকাতায় মিমের ব্যর্থ মিশন
Share!