Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী-সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশের কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী-সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বামনজল এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সকাল ৯টার দিকে বাসার রান্না ঘর থেকে স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ ও বেডরুম থেকে  শিশু কন্যা অর্পিতা রাণীর (২০ মাস) মরদেহ উদ্ধার করেছে।কনস্টেবল পরিমল চন্দ্রের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আকাশীল গ্রামে এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কালিতাগাও গ্রামে। সুন্দরগঞ্জ থানায় পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদানের পর থেকে ওই এলাকার পরিমল সরকারের বাসায় ভাড়া থাকতেন পরিমল চন্দ্র রায়।স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা জানায়, কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র রায় প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী ও তার শিশু কন্যা অর্পিতা রাণীকে নিয়ে রাতে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে পরিমল চন্দ্র ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান তার মেয়ে অর্পিতা রাণীর মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এ সময় স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীকে তিনি বিছানায় না দেখে বাইরে এসে রান্নাঘরের তীরের (ধরনার) সঙ্গে স্ত্রীর গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।প্রতিবেশীরা জানান, পরিমলের সাথে তার স্ত্রী কৃষ্ণার মাঝেমধ্যেই ঝগড়াঝাটি হতো। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসরাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে কৃষ্ণা রাণী ও অর্পিতার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।এ ব্যাপারে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।তিনি আরও জানান, এ নিয়ে কৃষ্ণারাণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরিমল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কী কারণে কৃষ্ণারাণী গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনিনি তিনি।জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top