স্মার্ট কার্ড দেয়ার আগেই প্রকল্পের অর্থ নিয়ে নয়-ছয় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ২০১৩-১৪ সালের অডিট রিপোর্টে।
প্রায় সোয়া কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি আর ঠিকাদারকে চুক্তি মূল্যের শতভাগ আগাম দেয়ার মতো গুরুতর আপত্তি তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট এই প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান কাজ ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি ও তথ্য ভান্ডার সংরক্ষণ।
ভোটার তালিকার তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কাজও করে সাংবধিানিক প্রতিষ্ঠানটি। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয় আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে। যাতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু ২০১৩-১৪ সালের অডিট রিপোর্টে এই প্রকল্পে গুরুতর অর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটিকে কর মওকুফের সুবিধা দেয়ায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। আরেকটি আপত্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে ১০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দেয়ার নিয়ম থাকলেও টাইগার আইটিকে চুক্তিমূল্য ২৮ কোটি ১২ লাখ টাকার পুরোটাই অগ্রিম দেয়া হয়েছে। যা মোটেই নিরাপদ নয়।
শুধু তাই নয় নাগরিকের তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৭ দেশ সফর করেছেন, ১৪ জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। বিমানের টিকিটবাবদ খরচ হয়েছে ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। টিকিট কিনতে যাচাই করা হয়নি বাজার দর। যা সরকারি ক্রয়নীতি পরিপন্থী। এই দুজনই মনে করেন, স্বচ্ছতা নিশ্চত করতে সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, অডিট আপত্তির যথাযথ জাবাব দেয়া হয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তার ভাষায়, বিশ্বব্যাংকের টাকা নয়-ছয় করা এত সহজ নয়।