নাশকতার তিন মামলায় গ্রেফতার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন পেতে মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছেন আদালত।ফখরুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্থায়ী জামিন বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল আজ রোববার। তবে আদালত মির্জা ফখরুলের মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছেন।এর আগে গত ১৬ নভেম্বর সোমবার আসামি ও রাষ্ট্র উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের ওপর রুলের বিষয়ে আদেশ আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।গত ১১ নভেম্বর শুনানি শেষে আদেশের দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।গত ২ নভেম্বর মির্জা ফখরুলকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরদিন মির্জা ফখরুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মুহূর্তে তিনি কারাগারে রয়েছেন।এর আগে ২১ জুন ওই তিন মামলায় ফখরুলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের জামিন আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। ফলে সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান এ বিএনপি নেতা। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান তিনি। দেশে ফিরে আবেদন জানিয়ে আত্মসমর্পণের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে নেন মির্জা ফখরুল।নাশকতার কাজে উসকানি, প্ররোচনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি এসব মামলা দায়ের করে ওই দুই থানার পুলিশ।
ফখরুলের মেডিকেল রিপোর্ট চান আদালত
Share!