শুল্কমুক্ত ডলার আমদানির জন্য চিঠি দেয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অনুমতি পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলেও ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান ক্যাশ ডলার দিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই ডলারের দাম আর বাড়ার কোন আশংকা নেই। পরিচালনার পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত ডলার আমদানির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমতি চেয়ে গত ১ অক্টোবর চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
যেখানে বলা হয়েছিল, চাহিদার তুলনায় বাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নোটের পরিমাণ কমে আসছে। শিগগিরই শুল্কমুক্ত আমদানি না হলে ডলারের দাম বেড়ে যেতে পারে। এই চিঠি দেয়ার প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও মেলেনি আনুমোদন।
এদিকে, চাহিদার তুলনায় ডলার নোটের সরবরাহ কম থাকায় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত ডলারের দর বেড়েছে ১ টাকা চল্লিশ পয়সা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আন্তব্যাংক লেনদেনের মূল্য ছিল ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা। আর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সা।
আর গ্রাহকদের কাছে প্রতি ডলার ৮২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে।তা সত্ত্বেও এনবিআর এর অনুমতি না পাওয়ায় সহসাই ক্যাশ ডলার আমদানির কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিতে, ব্যাংকখাতে ডলার নোটের সরবরাহ ৫ কোটি ডলার থাকাটা স্বাভাবিক অবস্থা।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর হাতে প্রায় ৩ কোটি ডলার নোট রয়েছে। সামনে বড় কোন উৎসব না থাকায় স্বল্প মেয়াদে এ ডলার দিয়ে আপাতত চাহিদা অনুযায়ী ডলার সরবরাহ সম্ভব বলে দাবি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে বাজার স্থিতিশীল রাখা কতটা সম্ভব তা নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ ব্যাংক।