Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়।মিয়ানমার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষের ৬৬৪ আসনের মধ্যে ১৬৬ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। বাকি আসনগুলোতে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে ৯১ দল। মোট ৬১৯৩ জন প্রার্থী এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দেশটির ৩ কোটি নিবন্ধিত ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ নির্বাচনে মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।এদিকে সাধারণ নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে থেইন সেইন জোর দিয়ে বলেছেন, তার সরকার ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী ভোটের ফলের প্রতি সম্মান জানাবে। আজ দেশটিতে গত পঁচিশ বছরের মধ্যে প্রথম বহুদলীয় অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেন, আমি উদ্বেগের কথা শুনেছি। তবে নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানানো হবে। আমাদের সরকার ও সেনাবাহিনী আবারও বলতে চায় স্বচ্ছ ও স্বাধীন নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানানো হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন রাজনৈতিক যুগে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।৫০ বছর সামরিক শাসনে থাকার পর সর্বশেষ ২০১১ সালে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বেসামরিক সরকার গঠন করা হলেও পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে সামরিক বাহিনী। গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী সুচি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য সংবিধানের ধারায় পরিবর্তনও এনেছে সেনাবাহিনী প্রভাবিত সরকার। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সুচি অভিযোগ করেছিলেন, এই নির্বাচন ‘প্রতারণামূলক’ হতে পারে।গত কয়েক দশক সেনা শাসনের পর এই নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী অং সান সুচির দল ক্ষমতায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি পার্লামেন্টে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ফলে দেশটির রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমারের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী প্রাধান্য বিস্তার করে আসছে।প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১১ সালে জান্তা শাসনের অবসানের পর সাবেক এ জেনারেল সংস্কার প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন। দেশটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো কর্তৃপক্ষ নির্বাচকদের নামের তালিকা কম্পিউটারাইজ করেছে। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।তবে পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। জাতিগত বিদ্রোহের কারণে কিছু এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে না।পর্যবেক্ষকদের আশংকা, অনেক ভোটার বিশেষত যেসব এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় গিয়ে কাজ করেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। মুদি দোকানি উইন মির বলেন, আমি এই সরকারকে পছন্দ করি না। তারা দুর্নীতিপরায়ণ। আমার বিশ্বাস, নির্বাচনে কিছুটা জালিয়াতি হবে। তবে, আমি মনে করি সুচি তাদের মতো হবেন না।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top