স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ নওগাঁর গৃহবধূ নাসিমা আক্তার নাইস (২৩) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আগুনে নাইসের শরীরের ৮২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। যৌতুক না পেয়ে ২৪ অক্টোবর রাতে নাইসের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী রুবেল হোসেন (৩০)।নাইসের বাবা আবদুল গাফ্ফার জানান, নাইস তার একমাত্র সন্তান। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় বগুড়ার আদমদীঘির রুবেল হোসেনের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। জামাই রুবেল হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এরপর শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে মসজিদের ইমামতি শুরু করেন। পাঁচ মাস আগে তা বাদ দিয়ে নওগাঁ সদরে প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান দেন। এজন্য তিনি দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। এর আগেও দুই দফায় তাকে ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। তিনি জানান, এবার তার জামাইয়ের দাবি ছিল আরও ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর এই টাকা না দেয়ায় ২৪ অক্টোবর রাতে তিনি নাসিমার মাথায় ও শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। নওগাঁয় তারা একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ ঘটনার পরদিনই রুবেলের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় মামলা হয়। তবে পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া জানান, মৃত্যুর আগে নাইসের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে তার স্বামী রুবেলই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে। তিনি আরও জানান, নওগাঁ সদরে রুবেলের ভাড়াবাড়ি এখন তালাবদ্ধ। গ্রামের বাড়িতেও তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্বামীর দেয়া আগুনে গৃহবধূ নাইসের করুণ মৃত্যু
Share!