শেষে সেই ‘পীর’ কারাগারে
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ জিন ও ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের পর্নো ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার কথিত পীর আহসান হাবিব পেয়ারকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিক এ আদেশ দেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ আসামি পেয়ারকে খিলগাঁও থানার পুলিশ হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি পেয়ারকে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকের আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতের বিচারক নিয়ম অনুসারে স্বীকারোক্তি দেওয়া নিয়ে তাঁকে তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। আসামি স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত স্বীকারোক্তি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গত বুধবার খিলগাঁও থানার পুলিশ আসামি পেয়ারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট আসামি পেয়ারকে গ্রেপ্তার করে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, আহসান হাবিব পেয়ার দাওরায়ে হাদিসে পড়াশোনা করেছেন। নিজেকে এএইচপি টিভির সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেন এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মের কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন পেয়ার। সম্প্রতি তিনি নিজেকে পীর দাবি করে জিন তাড়ানোর কথা বলে তরুণীদের নির্যাতন করতেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন উত্তেজক কথা বলে এবং পরে এদের অনেককে নিজ বাসায় এনে প্রতারণা করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। এ ঘটনায় পেয়ারের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন একাধিক ভুক্তভোগী তরুণী।