কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতা সহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
সাত চুক্তি ও সমঝোতা হলো-কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতা, কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক, ইনডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড রিসার্চ (সিএসআইআর), ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা, ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা, দুদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দুটি সমঝোতা, প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা, মহাকাশ প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে, এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দুটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী সংকট কাটিয়ে উঠতে বর্ধিত সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করছে।
এর আগে, হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান এবং তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করেন। বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার সম্মানে হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শন করে ভারতে তার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন শুরু করেন যেখানে নরেন্দ্র মোদি তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শনের পর, প্রধানমন্ত্রী মহান ভারতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে রাজ ঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে যান।
শেখ হাসিনা আজ বিকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারত সফরের প্রথম দিনে সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বসবাসের স্থান, আইটিসি মৌর্য হোটেলের সামিট রুমে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ পরিদর্শন করেন এবং সেখানে নফল নামাজ ও ফাতেহা পাঠ করেন এবং জনগণ ও জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করে মোনাজাত করেন।