আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। গোটা ম্যাচ জুড়ে আক্রমণের পসরা বসিয়েও গোল করতে পারেননি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। প্রথমার্ধে সুমন রেজার দুইবার সুযোগ নষ্টের পর দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ পরিবর্তন করেও গোল নামক সোনার হরিণের খোঁজ পায়নি বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে জমাট বাঁধা রক্ষণে বাংলাদেশকে আটকে দেয় মঙ্গোলিয়া।
নিজেরা আক্রমণে তেমন না গেলেও বাংলাদেশের মুহুর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মঙ্গোলিয়ার ডিফেন্ডাররা।
মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হারা ম্যাচের ফর্মেশন থেকে বদল এনে ৪-১-৪-১ কৌশলে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চার ডিফেন্ডারের সামনে আতিকুর রহমান ফাহাদকে ডিফেন্সিভ মিডে খেলান কাবরেরা। এতে ফলও পেয়েছে বাংলাদেশ, মঙ্গোলিয়ার অধিকাংশ আক্রমণ নষ্ট করেছেন ফাহাদ। অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াকে অ্যাটাকিং মিডে খেলালেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি তিনি।
শুরুর ৪৫ মিনিটে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। প্রথম মিনিটেই আক্রমণে উঠে দারুণ সুযোগ তৈরি করে। মাঝ মাঠ থেকে ইব্রাহিমের বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোল মুখে রাকিবের নেওয়া পাস সুমনের পায়ে যাওয়ার আগেই মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক দক্ষতার সাথে ফিরিয়ে দেন। পঞ্চম মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে রাকিবের পাস আবারও মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন।
সময় যত বেড়েছে বাংলাদেশের আক্রমণের পরিমাণ তত বেড়েছে। ১৫ মিনিটে মঙ্গোলিয়ার দুই-তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ইয়াসিন আরাফাতের ডিফেন্স চেরা পাস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি ইব্রাহিম। ফলে নষ্ট হয় আক্রমণ। ৪১ মিনিটে সোহেল রানার হাওয়ায় ভাসানো পাসে বক্সের ওপর থেকে সুমন রেজার শট ক্রস বারে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে।
প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগে ম্যাচের সেরা সুযোগ নষ্ট করেন সুমন রেজা। জামালের ফ্রি কিকে দূরের পোস্টে ইয়াসিন আরাফাত হেড করে গোল মুখে বাড়িয়ে দিলে বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের শট নেন সুমন রেজা। কিন্তু তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। এই সুযোগ নষ্টের কারণে আফসোসে পুড়তেই পারেন সুমন। প্রথমার্ধে একবারের জন্যও বাংলাদেশের পোস্টে শট নিতে পারেনি মঙ্গোলিয়া।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মঙ্গোলিয়া দুইবার বাংলাদেশের রক্ষণে বল চাপালেও বিপদ ডেকে আনতে পারেনি। বাকি সময়টা বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কাবরেরার দল। নাবীব নেওয়াজ জীবন, জাফর ইকবাল, রায়হান হাসানরা মাঠে নেমেও পাননি গোল।
৭২ মিনিটে ডান দিক থেকে রিমনের ক্রস মঙ্গোলিয়ার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক বদলে জামালের পা ছুঁয়ে পোস্টের দিকে যাওয়া বল কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক মুঙ্ক এরদেনে। বাকি সময়ে আর মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ ভাঙতে না পারায় হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।