মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণার পরে আদালত প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতে রায় শোনার জন্য উপস্থিত হওয়া উৎসুক জনতা কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ করেন। একই সময়ে আসামিদের লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করতেও দেখা যায় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে।
বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলায় প্রধান দুই আসামি ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজকে (৪৫)।
খালাস পেয়েছেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।
এর আগে আজ দুপুর ২টায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সাবেক (ওসি) প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। তাঁদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়কে ঘিরে সকাল থেকে কক্সবাজার জেলা আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় আদালতের ফটকসহ সবদিকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।