সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরহরণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে এক বৃদ্ধকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক থেকে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ৭২ বছর বয়সী ওই অভিযুক্তকে আটক করে।
ট্রাম্পকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে সিক্রেট সার্ভিসে একাধিকবার অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধ ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
আটককৃত ৭২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের নাম থমাস ওয়েলনিস্কি বলে জানা গেছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের প্রসিকিউটিররা জানিয়েছেন, আটককৃত ওই বৃদ্ধ জ্ঞাতসারে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপহরণ, শারীরিকভাবে ক্ষতি সাধন এবং হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
থমাস ওয়েলনিস্কির বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ রয়েছে যে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলের পুলিশকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি ট্রাম্প পরাজিত হন এবং ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান; তাহলে তিনি অস্ত্র সংগ্রহ করবেন এবং ট্রাম্পকে হত্যা করবেন।
এএফপি বলছে, ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থিত সিক্রেট সার্ভিসের অফিসে দু’টি ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন থমাস ওয়েলনিস্কি। এসব মৌখিক বার্তায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশাপাশি ১২জন অজ্ঞাত কংগ্রেস সদস্যকে তিনি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত থমাস ওয়েলনিস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সের বাসিন্দা। ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দেওয়া বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হুমকিই দিচ্ছি। পারলে আমাকে গ্রেফতার করো। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ১২ বাঁনরকে হত্যার জন্য আমি সম্ভব সবকিছুই করবো।’
এছাড়া গত বছরের নভেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অবস্থিত সিক্রেট সার্ভিসের অফিসে তিন বার ফোন করেন থমাস ওয়েলনিস্কি। নিজের মোবাইল ফোন থেকে করা এসব ফোনকলে প্রতিবারই অভিযুক্ত বৃদ্ধ নিজের নাম বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন।
সেখানে তিনি ট্রাম্পকে ‘হিটলার’ বলে উল্লেখ করেন এবং ট্রাম্পের মৃত্যু নিশ্চিত করতে সম্ভব সবকিছুই করার ঘোষণা দেন।
এছাড়া গত ডিসেম্বরে করা পৃথক একটি ফোনকলে ওয়েলনিস্কি বলেন, দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নির্বাচনের ব্যালট গুরুত্ব হারালে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া ন্যায়সঙ্গত।