দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের মাধ্যমেই বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান প্রতিষ্ঠিত হবে। এমন আশাবাদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক পাওয়া ব্যক্তি ও হাতের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দিয়ে এ কথা বলে প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরতে কাজ করছে তাঁর সরকার। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ বছর মোট ১৬ জনকে একুশে পদক দেয়া হয়।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, সাহিত্য, শিল্পকলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি দিতে, ১৯৭৬ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে একুশে পদক। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রের বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিতি, এই আয়োজনকে দেয় ভিন্নমাত্রা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ বছর মোট ১৬জনকে দেয়া হয় একুশে পদক। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে একজন, ভাষা আন্দোলনে একজন মরণোত্তরসহ ৪ জন, শিল্পকলায় একজন মরণোত্তরসহ ৫ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ৩ জন, গবেষণায় দুজন এবং সাংবাদিকতায় একজন পেয়েছেন এই রাষ্ট্রীয় পদক।
পরে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানান পদক পাওয়া গুণী ব্যক্তিদের। তাঁর আশা, দেশ ও জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে আগামিতে আরও ভূমিকা রাখবেন সংশ্লিষ্টরা।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যাতে সারা পৃথিবীতে পালিত হতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে তাঁর সরকার। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের মাধ্যমেই বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সম্মান প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।